ঢাকা ১২:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রহমতগঞ্জে থামলো জামাল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:৩৬:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০১৭
  • ২৩৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলছিলো শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। টানা তিন ম্যাচ জেতার পর অবশেষে রহমতগঞ্জের সামনে এসে থামলো তারা। গতকাল সন্ধ্যায় দিনের একমাত্র ম্যাচে শেখ জামাল ১-১ গোলে ড্র করেছে রহমতগঞ্জ এমএফএসের বিপক্ষে। শেখ জামালের পক্ষে গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড মোমোদু বাহ ও রহমতগঞ্জের ডিফেন্ডার আসিফ হোসেন রিমন একটি করে গোল করেন। বলা চলে অপেক্ষাকৃত রহমতগঞ্জের কাছে পুরো তিন পয়েন্ট না খোয়ানোটা ছিলো শেখ জামালের ভাগ্য। কারণ ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রহমতগঞ্জ প্রথমে পিছিয়ে থেকে সমান তালে লড়ে শুধু গোল শোধই করেনি একের পর এক সুযোগও নষ্ট করেছে। তারা যদি সবগুলো সুযোগ কাজে লাগাতে পারতো তাহলে জামালকে শেষ পর্যন্ত হারের গানি নিয়েই মাঠ ছাড়তে হতো। এই ড্রতে চট্টগ্রাম আবাহনীর চেয়ে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে পড়ল শেখ জামাল। চট্টগ্রাম আবাহনী চার ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে থাকলেও সমান ম্যাচে জামাল ১০ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয়স্থানে নেমে গেল। লিগের তৃতীয় রাউন্ড পর্যন্ত চট্টগ্রাম আবাহনী ও শেখ জামাল যৌথভাবে শীর্ষে ছিল। চতুর্থ রাউন্ডে এসে এককভাবে শীর্ষস্থানে থাকছে চট্টগ্রাম আবাহনী। জামালের এই ড্রতে লাভ হয়েছে ঢাকা আবাহনীরও। শেখ জামালের সঙ্গে এখন তাদের পয়েন্টের ব্যবধান তিনে নেমে আসলো। চার ম্যাচ শেষে রহমতগঞ্জ সাত পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে ঢাকা আবাহনীর সঙ্গে রয়েছে
কাল ম্যাচের শুরু থেকে শেখ জামাল আক্রমণাতœক ফুটবল খেললেও রহমতগঞ্জও লড়েছে সমান তালে। তারা জামালের আক্রমণ প্রতিহত করে পাল্টা আক্রমণে গিয়ে গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু অভিজ্ঞ স্টাইকারের অভাবে গোল পায়নি পুরান ঢাকার দলটি।
ম্যাচের প্রথম সুৃযোগ পায় শেখ জামাল। ১৮ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে রহমতগঞ্জ বক্সে প্রবেশ করে জামালের গাম্বিয়ান মোমোদু বাহ। তিনি জোরালা শট নিলেও বল সাইডবার ঘেষে বাইরে চলে যায়। তিন মিনিট পর এই মোমোদু বাহ’ই গোল করেন। ২১ মিনিটে এনামুলের বাড়ানো বলে মোমোদু বাহ রহমতগঞ্জের দুই ডিফেন্ডারকে প্রতিরোধের সুযোগ না দিয়ে প্লেসিং শটে গোল করেন (১-০)। দুই মিনিট পরই ম্যাচে ফিরে জায়ান্ট কিলার খ্যাত রহমতগঞ্জ। ম্যাচের ২৩ মিনিটে শাহেদের কর্নার শেখ জামালের ডিফেন্ডাররা ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন। ফলে বল ছোট বক্সে পড়ে। জটলায় দাড়িয়ে থাকা রহমতগঞ্জ ডিফেন্ডার আসিফ হোসেন রিমন তড়িৎ গতিতে টোকা দিয়ে গোল করে সমতা আনেন (১-০)। সমতা আসার পর কর্দমাক্ত মাঠে দুই দলই চেস্টা করে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমনে গতিশীল ফুটবল খেলতে। কিন্তু কাদায় মাঠ ভারী হওয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

রহমতগঞ্জে থামলো জামাল

আপডেট টাইম : ০১:৩৬:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলছিলো শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। টানা তিন ম্যাচ জেতার পর অবশেষে রহমতগঞ্জের সামনে এসে থামলো তারা। গতকাল সন্ধ্যায় দিনের একমাত্র ম্যাচে শেখ জামাল ১-১ গোলে ড্র করেছে রহমতগঞ্জ এমএফএসের বিপক্ষে। শেখ জামালের পক্ষে গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড মোমোদু বাহ ও রহমতগঞ্জের ডিফেন্ডার আসিফ হোসেন রিমন একটি করে গোল করেন। বলা চলে অপেক্ষাকৃত রহমতগঞ্জের কাছে পুরো তিন পয়েন্ট না খোয়ানোটা ছিলো শেখ জামালের ভাগ্য। কারণ ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রহমতগঞ্জ প্রথমে পিছিয়ে থেকে সমান তালে লড়ে শুধু গোল শোধই করেনি একের পর এক সুযোগও নষ্ট করেছে। তারা যদি সবগুলো সুযোগ কাজে লাগাতে পারতো তাহলে জামালকে শেষ পর্যন্ত হারের গানি নিয়েই মাঠ ছাড়তে হতো। এই ড্রতে চট্টগ্রাম আবাহনীর চেয়ে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে পড়ল শেখ জামাল। চট্টগ্রাম আবাহনী চার ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে থাকলেও সমান ম্যাচে জামাল ১০ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয়স্থানে নেমে গেল। লিগের তৃতীয় রাউন্ড পর্যন্ত চট্টগ্রাম আবাহনী ও শেখ জামাল যৌথভাবে শীর্ষে ছিল। চতুর্থ রাউন্ডে এসে এককভাবে শীর্ষস্থানে থাকছে চট্টগ্রাম আবাহনী। জামালের এই ড্রতে লাভ হয়েছে ঢাকা আবাহনীরও। শেখ জামালের সঙ্গে এখন তাদের পয়েন্টের ব্যবধান তিনে নেমে আসলো। চার ম্যাচ শেষে রহমতগঞ্জ সাত পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে ঢাকা আবাহনীর সঙ্গে রয়েছে
কাল ম্যাচের শুরু থেকে শেখ জামাল আক্রমণাতœক ফুটবল খেললেও রহমতগঞ্জও লড়েছে সমান তালে। তারা জামালের আক্রমণ প্রতিহত করে পাল্টা আক্রমণে গিয়ে গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু অভিজ্ঞ স্টাইকারের অভাবে গোল পায়নি পুরান ঢাকার দলটি।
ম্যাচের প্রথম সুৃযোগ পায় শেখ জামাল। ১৮ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে রহমতগঞ্জ বক্সে প্রবেশ করে জামালের গাম্বিয়ান মোমোদু বাহ। তিনি জোরালা শট নিলেও বল সাইডবার ঘেষে বাইরে চলে যায়। তিন মিনিট পর এই মোমোদু বাহ’ই গোল করেন। ২১ মিনিটে এনামুলের বাড়ানো বলে মোমোদু বাহ রহমতগঞ্জের দুই ডিফেন্ডারকে প্রতিরোধের সুযোগ না দিয়ে প্লেসিং শটে গোল করেন (১-০)। দুই মিনিট পরই ম্যাচে ফিরে জায়ান্ট কিলার খ্যাত রহমতগঞ্জ। ম্যাচের ২৩ মিনিটে শাহেদের কর্নার শেখ জামালের ডিফেন্ডাররা ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন। ফলে বল ছোট বক্সে পড়ে। জটলায় দাড়িয়ে থাকা রহমতগঞ্জ ডিফেন্ডার আসিফ হোসেন রিমন তড়িৎ গতিতে টোকা দিয়ে গোল করে সমতা আনেন (১-০)। সমতা আসার পর কর্দমাক্ত মাঠে দুই দলই চেস্টা করে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমনে গতিশীল ফুটবল খেলতে। কিন্তু কাদায় মাঠ ভারী হওয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি।